Header Ads

Header ADS

শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের মহিমা প্রকাশ

বর্তমান যশোর জেলার কেশবপুর গ্রামে গোলক পাল নামে একজন সাধু লোক ছিল । এই গোলক পালের পুত্র হল হরিপাল । হরিপাল অতী সহজ সরল লোক ছিল । সকল লোকের কথা তিনি বিশ্বাস করিতো । হরিপালের দুটি নৌকা ছিলো । একটি বড়, অন্যটি ছোট। বড় নৌকা অন্যা লোক দিয়ে ( বাদায় ) সুন্দর বনে পাঠাতো ।

সেখান থেকে গাছ এনে যা বিক্রয় করিতো তা দিয়েই সংসার চালাতো । আর ছোট নৌকাটি  নিজের কাজে ব্যাবহার করিতো । একদিন হরিপাল ডুমরিয়া সুর্য্যনারায়নের মুখে ওড়াকান্দী হরিচাঁদ ঠাকুরের গল্পো শুনে হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি তার পূর্ন ভক্তি ও বিশ্বাস জম্নিলো । বাড়ীতে এসে হরিনাম করিতে শুরু করিলো । হরিনামের গুনে হরিপালের পরিবর্তন দেখা দিলো । গ্রামের সকল লোকে হরিপালকে হরিবলা বলে ডাকিতে শুরু করিলো । এভাবে অনেক দিন চলেগেল । হটাত হরিপালের ভীষন জ্বর হলো । জ্বরে কখনো কখনো অজ্ঞান হয়েযেত । তা দেখে হরিপালের বাবা হরিপালকে ঔষধ খেতে অনুরোধ করলেন । কোন মতেই হরিপাল ঔষধ খেতে রাজী হলোনা ।


 
সুন্দরবন
সুন্দরবন



তিনি তার বাবাকে বলিলেন , ঔষধ খেয়ে আমি যদি ভাল হই । তবে ঠাকুরের প্রতি আমার বিশ্বাস রইলো কই ? তবে তুমি আমাকে যদি বাচাতে চাও ? ওড়াকান্দী থেকে হুকুম এনে আমাকে বাচাও। একথা শুনে হরিপালের বাবা ডুমরিয়া যেয়ে সুর্য্যনারায়নের নিকট সব কথা খুলে বল্লেন । এবং হরিচাঁদ পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরকে আনার বাসনা জানালেন। কথা শুনে সুর্য্যনারায়ন নিযেই হরিপালকে দেখতে এলেন । এবং ব্যাবস্থা দিয়ে হরিপালকে সম্পূর্ন সুস্থো করলেন । এবার হরিপাল এবং সুর্য্যনারায়ন দুজনে কিছুদিন পরে একত্রে ওড়াকান্দী যাবে বলে দুজনের মন স্থীর করিলেন । এবং বড় নৈকাটি চারজন লোক নিয়া (বাদায় ) সুন্দর বনে গাছের জন্য পাঠালেন ।

বনে আগের কিছু গাছ কাটা ছিল । তার পরেও কিছু গাছ কেটে নৈকা বোঝাই করে দেশের উদ্দেশ্ব যাত্রা করলেন । ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস অর্ধ রাত্রে গাছ সহ নৈকা ডুবে গেল ।সে খানের সরদার ছিল গদাই বাওয়াল , সে কাহিনি বলিব আগামী কাল । সব লেখিলে লেখা বেশী হয়ে যাবে । হরিচাঁদ ঠাকুরের গল্পো প্রেম আনন্দে হরি হরি বল সবে ।। হরি বল ।।

No comments

Powered by Blogger.