ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রী হরিচাঁদ মন্দিরে হয়ে গেল মতুয়া আলোচনা
হরিপ্রীতি,
নিউইয়র্কের রীচমন্ড হীলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শ্রীশ্রীহরিচাঁদ মন্দির।সে মন্দিরের সভাপতি মতুয়া শ্রী সুশীল সিনহা ও তাঁর সহধর্মিনী মতুয়া শ্রীমতি শিখা সিনহা গতকাল ৩/১/২০১৮ইং সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রীহরিচাঁদ মন্দিরে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন।
![]() |
মতুয়া শ্রী সুশীল সিনহা ও তাঁর সহধর্মিনী মতুয়া শ্রীমতি শিখা সিনহা |
![]() |
ড.বিরাট বৈরাগ্য এবং মতুয়াচার্য শ্রীসুব্রত ঠাকুর |
শ্রীধামের ঠাকুর পরিবারের মতুয়াচার্য শ্রীসুব্রত ঠাকুর ও ভারত থেকে আগত বরেণ্য গবেষক ড.বিরাট বৈরাগ্য মহাশয় কালকের অনুষ্ঠানে ছিলেন যথাক্রমে সম্মানিত প্রধান অতিথি ও প্রধানবক্তা।
সন্ধ্যার পরে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের এ অনুষ্ঠানে শ্রী সুশীল সিনহা বিশেষ অতিথি হিসেবে যে নাতিদীর্ঘ বক্তব্যটি রেখেছেন, আমাদের বিবেচনায় তা নানাবোধে অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী ও সময়োপযোগী।
আমেরিকায় ২০১৫ সালে হরিচাঁদ মন্দির প্রতিষ্ঠা সারা বিশ্বের মতুয়াদের আবেগকে গর্বে আন্দোলিত করে।সেই মন্দির প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছিলেন- মতুয়া বিশ্ব তাদের মঙ্গলের জন্য প্রাণভরে শ্রীহরির নিকট প্রার্থনা করেছিল।
ডাঃ সমীর সরকার,ডাঃ নিহার সরকার,সুশীল সিনহা,তারক রায়,শিখা সিনহা সহ আমেরিকা প্রবাসী যারা যারা এ মন্দির প্রতিষ্ঠার পশ্চাতে অবদান রেখেছেন,তাঁদের সবার নাম মতুয়ারা পরম শ্রদ্ধায় উচ্চারণ করে।কিন্তু বিগত কয়েকমাস আগে সহজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে নিউইয়র্কের মন্দির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের বিভক্তির খবর শুনে বিশ্ব মতুয়ারা যারপরনাই মর্মাহত হয়।বিশেষত শ্রদ্ধাষ্পদ তারক রায় ও ডাঃ নীহার সরকারের পোস্টে কিছু নেতিবাচক কথা প্রকাশ পায়।
সে সমস্ত বিষয়ে কাল ঢাকা মন্দিরের বক্তব্যে শ্রী সিনহা খোলামেলা কথা বলেন।তিনি অত্যন্ত পরিশীলিত বক্তব্যে তারক রায় ও ডাঃ নীহার সরকারকে পরম হরিভক্ত উল্ল্যেখ করে বিনয়ের সাথে বলেন,"আমি আমেরিকা হরিমন্দিরের সভাপতি একথা কখনোই কারো কাছে প্রচার করিনা।আমার চেয়ে তারকদা, নীহারদা অত্যন্ত বড়মাপের হরিভক্ত মতুয়া।ওনরা নিউইয়র্ক মন্দির বিষয়ে আমাদেরকে যতটুকো ভুল বুঝেছেন,তা ভ্রান্ত বলে প্রমান করে দেব।ওনাদের ভুল ও অভিমান ভাঙার দায়িত্ব আমি স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের কাঁধে নেব।আমি কথা দিয়ে গেলাম,আপনারা অচিরেই আমেরিকার নিউইয়র্ক মন্দিরের সংশ্লিষ্ট সকলের দ্বিধাদ্বন্দ্ব,আশংকা দূর হওয়ার ও মিলনের শুভবার্তা পাবেন।"
আমরা শ্রদ্ধাষ্পদ শ্রী সিনহার কথায় আশান্বিত হয়েছি।আমেরিকার একজন মতুয়া জেগে উঠলে, লক্ষ মতুয়া এখানে জাগবে।ডাঃ সমীর সরকার,সুশীল সিনহা,তারক রায়, ডাঃ নীহার সরকার,আপনাদের একত্রিত একটি যৌথ ছবির পরম প্রতীক্ষায় রয়েছি আমরা।আপনারা মতুয়া আন্দোলনকে সাফল্যের শীর্ষে তুলেছেন।আমরা নিচে থেকে সে সাফল্যে গৌরব বোধ করি।শীর্ষ থেকে নামার আপনাদের কোনই সুযোগ নেই।আপনারা আমাদের অহংকার।আমরা আপনাদের মাথায় করে রাখব।জয় হরিগুরুচাঁদ।
No comments