Header Ads

Header ADS

মহাত্মা গান্ধীর শ্রীধাম ওরাকান্দিতে আগমন হয়েছিল কি?? সত্যতা জেনে নিন



বাংলা ১৩৪১ সালের আনন্দবাজার পত্রিকার খণ্ডিত অংশ (পত্রিকাটি এখনো শ্রীধামে রয়েছে) যেখানে স্বয়ং গুরুচাঁদ ঠাকুরের হাতের স্পর্শ রয়েছে।

২১ মে তারিখ সোমবার মৌন দিবস,২২ মে মঙ্গলবার খুলনায় লঞ্চে অবস্থান,২৩ মে বুধবার শ্রীধাম ওরাকান্দি ও গোপালগঞ্জ। রাত্রি ৯ টায় খুলনা ত্যাগ,ভোর ৫ টায় কালিয়া উপ্সথিতি,ভোর ৬ টায় ষ্টীমলঞ্চযোগে কালিয়া হইতে তাড়াইল যাত্রা তথা হইতে মোটরযোগে ২ মাইল দূরবর্তী ওরাকান্দি যাত্রা।সকাল ১০ টায় ওরাকান্দি হইতে মোটর বা নৌকাযোগে যাত্রা গোপালগঞ্জের………


এই সেই পত্রিকার খণ্ডিত অংশ

এই সেই পত্রিকার খণ্ডিত অংশ


এভাবেই মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী) এর আগমনের হিসাব-নিকাশ সবই করা হয়ে গিয়েছিল কিন্তু অনিবার্য কারনবশত মহাত্মার বাঙলা সফর সফলতার মুখ দেখতে পারে নাই।


শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবদ্দশায় ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী শ্রীধাম ওড়াকান্দীতে আসতে চেয়েছিলেন শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরকে দর্শন করার জন্য। গান্ধীজী শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরকে "মহান গুরু" হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রীয়ভাবে সময় ঠিক হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর বাংলা সফরের। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের বড় পুত্র শ্রী শশীভূষণ ঠাকুর তখন বিভিন্ন ভক্তদের নিয়ে মঞ্চ তৈরি করার প্রস্তুতি নিলে শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর বলেছিলেন, গান্ধীজী আসতে পারবেনা, তোমরা অযথাই টাকা পয়সা খরচ করে মঞ্চ তৈরি করনা। উত্তরে শশীভূষণ ঠাকুর একটি পত্রিকা গুরুচাঁদ ঠাকুরকে দেখিয়ে বলেছিলেন, এই দেখ বাবা, আনন্দবাজার পত্রিকায় মহাত্মার বাংলা সফরের দিন, তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে গান্ধীজীর বাংলা সফরের খবর প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে। তারপরও গুরুচাঁদ ঠাকুর বলেছিলেন, গান্ধীজী আসতে পারবে না। তোমরা এ মঞ্চ তৈরি করনা।


উল্লেখ্য যে, ১৯৪৬ সালে জাতিগত সংঘাত রায়টের পর ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর চৌমুহনী রেলস্টেশনে প্রথম মহাত্মাগান্ধী নোয়াখালীর মাটিতে পদার্পন করেন। তৎকালীন এম.এল.এ. শ্রী হারান ঘোষ চৌধুরীর উদ্যেগে নোয়াখালীর প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয় চৌমুহনীতে। মহাত্মা গান্ধী সে জনসভায় প্রথম বক্তৃতা করেন। তারপর জনসভা করেন দত্তপাড়া গ্রামে। ধারাবাহিকভাবে চলল তাঁর পরিক্রমা।

শেষ পর্যন্ত শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছিল, গান্ধীজী যেকোনোভাবে প্রোগ্রাম ফেল করেছিল, বাংলায় আর গান্ধীজীর আসা হয়নি।

তথ্য সংগ্রহেঃ শ্রী হিমাংশুপতি ঠাকুর।
মহাসঙ্ঘাধিপতি, বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ, শ্রীধাম ওড়াকান্দী।

No comments

Powered by Blogger.